![শিক্ষার আলো ডট কম](https://shiksharalo.com/wp-content/themes/s_a_faroque_up/images/main_logo.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
৭০ বছর বয়সে এসে পণ ভাঙলেন শিক্ষক শওকত আলী
পরিবারের হাল ধরতে এক সময় চিরকুমার থাকা পণ করলেও ৭০ বছর বয়সে সেটির অবসান ঘটিয়েছেন বাগেরহাটের রামপাল সরকারি কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক শওকত আলী। কলেজের অবসর প্রাপ্ত এই শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন পাশ্ববর্তী মোংলা উপজেলার ৩৫ বছরের বিধবা সাহিদা আক্তার নাজু। ১ কন্যা সন্তানের জননীকে বিয়ে করে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মাঠে ঘাটে আলোচনার ঝড় উঠেছে চির কুমার শওকত আলীকে নিয়ে।
জাঁকজমকভাবে শনিবার (১৮ মার্চ) বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। ১০ লাখ এক টাকা দেনমোহরে নগদ পাঁচ লাখ টাকা উসুলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে বাগেরহাটের রামপাল সরকারি কলেজে প্রফেসর ছিলেন বর শওকত আলী। একসময় পরিবারে হাল ধরতে এবং ভাই বোনদের মানুষ করতে গিয়ে বিয়ে করেননি। জীবনের মূল্যবান সময় তিনি শিক্ষকতা, ভাইবোন ও সমাজসেবায় ব্যয় করেছেন।বিয়ের কথা বলা হলেও কখনও রাজি হননি। চিরকুমার থাকবেন বলে জানাতেন। তবে অবসরে যাওয়ার পর বর্তমানে অনেকটা একাকীত্ববোধ করছিলেন।
বরের নিকটাত্মীয় আব্দুল হালিম খোকন বলেন, তিনি আমাদের বড় ভাই, আমরা তার কাছে মানুষ হয়েছি, সারাটা জীবন সে আমাদের সুখ-দুঃখে বটবৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বর্তমানে আমরা নিজেদের কর্ম ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি, যার কারণে ওনাকে সময় দিতে পারি না। তিনিও একাকীত্ব বোধ করছেন।
আব্দুল হালিম বলেন, আমরা বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি রাজি হন। পরে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের শাহিদা আক্তার নাজুর সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন করি।
তিনি আরও বলেন, কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড় ভাই নিয়েছেন। তারা বর্তমানে শান্তিতে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর এবং কনে আগামীতে হজে যাবেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে নতুন দম্পতির জন্য দোয়া কামনা করছি।
Posted ৭:৩০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো