
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রতীকী ছবি
ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য সব মিলিয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৫২টি। আরও চারটি প্রতিষ্ঠান টাকা জমা দিয়েছে, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করবে এবং তারপর তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে উপস্থাপন করবে। তবে এখনো ঠিক হয়নি, কয়টি লাইসেন্স দেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংক কী:
ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয় থাকবে। তবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। এর নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।
একটি ডিজিটাল ব্যাংকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সেবা মিলবে। গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। তবে লেনদেনের জন্য কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না। অবশ্য এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। বড় ও মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে।
ডিজিটাল ব্যাংকে কেন এত আগ্রহ:
বর্তমানে দেশে প্রচলিত ধারার ব্যাংক আছে ৬১টি। তাদের বেশির ভাগই বেসরকারি খাতের ব্যাংক। এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়েছে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে স্টার্টআপ কোম্পানি, মোবাইল অপারেটর, গ্যাস পাম্প কোম্পানি, ওষুধ কোম্পানি, ঢেউ শিট উৎপাদনকারী কোম্পানিও। আবার বিদেশি আর্থিক প্রযুক্তি কোম্পানিও আবেদন জমা দিয়েছে।
যে ১০ ব্যাংক মিলে ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায়, তাদের একটি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। একটি প্রথাগত ব্যাংক পরিচালনা করেও তারা কেন আলাদা ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপন করতে চায়, তা জানতে চাইলে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে এমন জনগোষ্ঠী আছে, যাঁরা অল্প অর্থের আমানত রাখতে চান কিংবা ছোট ঋণ চান। তাঁদের প্রথাগত ব্যাংকিং সুবিধায় নিয়ে আসার একটি বড় সমস্যা হলো, কাজটি করতে খরচ বেশি। তবে কম খরচে কাজটি করা সম্ভব একটি ডিজিটাল ব্যাংকের পক্ষে।
অন্যদিকে ‘পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার আগ্রহ জানিয়ে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও বলেছে, ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেলে তাতে অনেক তরুণ উপকৃত হবেন।
Posted ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৭ | |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১ | ১৩ | ৪ |
১৫ | ১৬ | ১ | ৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২ |
৯ | ৩০ | ৩১ |