হারুন অর রশিদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি | রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
পঞ্চগড়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগে স্বজনপ্রীতি করে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্র্রধান শিক্ষকে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরূদ্ধে। সম্প্রতি এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ।লিখিত অভিযোগে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার বোদা ময়নাগুড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের কয়েকটি শূন্য পদ পূরণের জন্য ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে দৈনিক আজকাল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই সময়ের সভাপতি মোঃ আবু তৈয়ব এবং প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হলে প্রধান শিক্ষক সুকৌশলে নিয়োগটি বাতিল করেন।
পরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও বাতিল করে, ততকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কামরুজ্জামান মামুনকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং প্রথম ধাপে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে আরও একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে,পাঁচটি পদের নিয়োগে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক সভাপতির নিকটাত্মীয় এবং প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। এ ছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে অন্তর্ভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোঃ আনারুল ইসলামের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় এবং আনারুলকে হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে গণস্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
এ বিষয়ে সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে, আর এই প্রক্রিয়ায় কোনো আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার শ্যালকের চাকরিটি সম্পূর্ণ নিয়োগ বিধি মেনেই হয়েছে। এখানে কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রশ্নই ওঠে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।
Posted ৫:১৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো