জেলা প্রতিনিধি | বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
বরগুনার তালতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের অর্থ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন (স্লিপ) সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ এনেছে শিক্ষকরা।
গতকাল মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে উপজেলার ৪৮টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালে মনিরুল ইসলাম তালতলী সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব করেন তিনি। দায়িত্ব পেয়েই তিনি নানাবিধ অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির (স্লিপ) বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করতে অগ্রিম ঘুষ না দিলে তিনি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের কাগজে স্বাক্ষর দেন না। তাকে টাকা না দিলে শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করে। অপর দিকে শিক্ষকদের বকেয়া বেতন থেকে সিংহভাগ টাকা তাকে দিতে হয়। নগদ অর্থের বিনিময়ে ডেপুটেশন আদেশে বদলি ব্যবস্থা করেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে অর্থ আদায়। এছাড়াও সম্প্রতি শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া কথায় কথায় শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তিনি। একই সাথে তাকে অনত্র বদলি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এবিষয়ে তালতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন অভিযোগ দিয়েছেন। আমি সঠিকমত কাজ করছি। আমার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্লিপের টাকা সকল বিদ্যারয়ের প্রধানদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেয়া হয়েছে।এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৬:৫১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো