বৃহস্পতিবার ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার হলে রাজিয়া ইসলাম নিছা

মাধূরী মজুমদার   |   মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষার হলে রাজিয়া ইসলাম নিছা

এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজিয়া ইসলাম নিছা

জীবন চলছে জীবনের নিয়মে। ঠিক তেমনি বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে রাজিয়া ইসলাম নিছা। গত রোববার ২১ নভেম্বর ভোরে রাজিয়া ইসলাম নিছার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান কিন্তু সব ব্যাথা ও যন্ত্রণা পিছনে ফেলে সকাল ৯টায় পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে রাজিয়া ইসলাম নিছা।

জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এসএসসি পরীক্ষা রাজিয়া ইসলাম নিছার বাবা পতনঊষার গ্রামের মিজানুর রহমান বাবু (৪৫) মারা গেছেন। শোকে বিহ্বল স্বজনেরা নিচ্ছেন লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে রাজিয়া ইসলাম নিছা নামের এক শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে ।গত রোববার সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে ওই কেন্দ্রে যায় সে। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় দ্বিতীয় দিনের ভূগোল পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে বাবার লাশ দাফনে অংশ নেয়। রাজিয়া ইসলাম নিছা কমলগঞ্জ উপজেলার উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রী।


স্বজনরা জানান, গত রোববার নিছার দ্বিতীয় দিনের এসএসসি পরীক্ষা ছিল। এরমধ্যে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভোরে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর বাবা হারা নিছা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লেও স্বজন ও শিক্ষকদের উৎসাহে সে রোববার সকালে উপজেলার মুন্সীবাজার কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে পরীক্ষা দিয়েছে। পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমেদ জানান, পরীক্ষার্থী নিছার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা শুনে সকালে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শান্তনা ও উৎসাহ দিয়েছি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।

কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষা সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র কুমার পাল জানান, নিছা সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা তার সার্বক্ষনিক খেয়াল রেখেছি।


পরীক্ষা শেষে রাজিয়া ইসলাম নিছা জানায়, ‘বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। বাবার আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।’

শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


Facebook Comments Box

Posted ৫:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
অফিস

চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com