| বুধবার, ০২ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
শিক্ষকতা জীবনে ২১ বছর পূর্ণ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক লিপিকা পাত্র।২১ বছর আগে ২৮ মে/২০০০ তারিখে এক ঝড় বৃষ্টির সকালে জয়সেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষক হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন তিনি।তিনি আর কেও নন, যিনি প্রাথমিক সেক্টরে সর্বজন পরিচিত, খুলনার তেরখাদা উপজেলা ইখড়ি কাটেংগা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিপিকা পাত্র।
তারই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন,সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাকে সুস্থ রেখেছেন কর্মক্ষম রেখেছেন,দিয়েছেন সম্মান। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে সাধ্যের শতভাগ দিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করেছি আমি। জানিনা কতটুকু দিতে পেরেছি দেশকে? কিন্তু পেয়েছি অনেক। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের নিস্পাপ ভালোবাসা,অভিভাবকদের শ্রদ্ধা,সহকর্মীদের ভালোবাসা এবং সহযোগিতা,কর্মকতাদের স্নেহধন্য হয়ে পেয়েছি দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ এবং প্রেরণা। যখন দেখি আমার শিক্ষার্থী কোন সংবাদের শিরোনাম হয়,জাতীয় পদক পায়,ভালো অবস্থানে যায়,ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য মনোনীত হয় তখন গর্বে বুক ভরে যায়। মনে হয় আমি সফল জননী। আরো ভলোলাগার বিষয় বর্তমান কর্মরত বিদ্যালয়টিতেই আমার শৈশব স্মৃতি বিজড়িত। এখানে শুরু হয়েছিল আমার প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি। আমার তৎকালীন শিক্ষাগুরুদের সাথে একসঙ্গে চাকরি করেছি অনেক বছর। এ এক পরম প্রাপ্তি।
একজন সৎ,নীতিবান এবং তুখোড় কর্মকর্তা ২০০০ সালে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,খুলনা , জনাব মোঃ ইউসুফ আলী স্যারের হাত দিয়েই যোগদান করেছিলাম। এখন যদিও স্যার অবসরে আছেন তাঁর সাথে আমার যোগাযোগ অব্যহত আছে। এরপর ২০০২/০৩ সালে খুলনা পি টি আই তে সি ইন এড প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করি সেই আমলের প্রশিক্ষকগণ আজ প্রাথমিক শিক্ষার উচ্চ আসনসম্পন্ন দায়িত্বে কর্মরত আছেন। কেউ ডি ডি,এডি,পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট প্রমুখ আবার অনেকেই অবসরে আছেন। তৎকালীন স্যারদের স্নেহ এবং দিকনির্দেশনা এখনও পাই। বিশেষ করে মোঃ মোসলেম উদ্দিন স্যার (ডি ডি সিলেট) , সৈয়দা নাসিমা ফেরদৌসী ম্যাম ( সুপারিনটেনডেন্ট খুলনা পিটি আই), লস্কর শফি আহম্মেদ স্যার ( সুপারিনটেনডেন্ট বাগেরহাট পি টি আই) সহ আরো অনেকে। এটা আমার জীবনের পরম পাওয়া।
করোনাকালে অনলাইন পাঠদানে উদ্বুদ্ধ হয়েছি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব, বারে বারে জাতীয় এবং বিভিন্ন জন প্রশাসন পদক প্রাপ্ত দেশনন্দিত খুলনা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক,জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন পিএএ স্যারের প্রেরণায় এবং আন্তরিকতায়। অনলাইন কর্যক্রমে পেয়েছি দেশের আলোকিত কর্মকর্তা, সহযোদ্ধা ভাইবোনদের, নিজ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রান্তের অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের যাদের সহযোগিতা,সহচর্য এবং প্রেরণা আমাকে পথ চলতে প্রেরণা দান করেছে।কর্মের স্বীকৃতি মানুষের কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়। উপজেলা পর্যায়ে তিনবার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পেয়েছি,জেলা পর্যায়ে ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ হয়ে ভিয়েতনাম সফর করেছি,জেলা পর্যায়ে এ্যাম্বাসেডর, ২০০৯ সাল থেকে TOT in English, a2i কর্তৃক সেরা অনলাইন পারফর্মার নির্বাচিত, জাতীয় পর্যায়ে গুগলমিট পাঠদান অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব মহোদয়,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় মহাপরিচালক,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর উপস্থিতিতে উদ্বোধনী পাঠদান করতে পেয়ে আপ্লুত হয়েছি। করোনাকালে সর্বাধিক লাইভ ক্লাস করার সুবাদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,ফেসবুক গ্রুপ, মাননীয় এম পি মহোদয় এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস খুলনার পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রাপ্তিতে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার এই প্রাপ্তিতে যাদের অবদান ছিল বিশেষ করে আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ কামারুজ্জামান স্যারসহ তাদের সকলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা পোষণ করছি।
এভাবেই আপনাদের সকলের ভালোবাসা আর প্রেরণা চাই আমৃত্যু। সকলে আমার জন্য আর্শীবাদ করবেন বাকি দিনগুলো যেন ধৈর্য্য এবং মনোযোগের সাথে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই মহোদয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কাজ করে যেতে পারি। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের জয় হোক।
আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করুন : https://web.facebook.com/shiksharalo.official/। বেশি বেশি লাইক ও শেয়ার করে সকলকে দেখার সুযোগ করে দিন।
ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল : https://www.youtube.com/channel/UCjYWHfop40H6KomW0ozTmuw
দেখুন করোনাযোদ্ধা শিক্ষকদের ক্লাস, সংবাদ ও শিক্ষার আলো ডট কমের লাইভ অনুষ্ঠান।
Posted ৪:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ জুন ২০২১
শিক্ষার আলো ডট কম | ডেস্ক এডিটর