শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদেরকে মহান হতে হবে

প্রফেসর ডক্টর মো: মাহমুদুল হাছান   |   শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদেরকে মহান হতে হবে

প্রফেসর ডক্টর মো: মাহমুদুল হাছান

শিক্ষার্থীরা যে জ্ঞান আহরণ করে তার গুণমান নির্ধারণের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার শিক্ষকের গুণমান। উইলিয়াম আরথার ওয়ার্ড এর মতে সমাজে চার ধরনের শিক্ষকের বিচরণ লক্ষ করা যায়, ১। মধ্যমমানের বা সাধারণ শিক্ষক (Mediocre Teacher), ভালো শিক্ষক (Good Teacher) উচ্চমানের শিক্ষক (Superior Teacher) এবং মহান শিক্ষক (Great Teacher)। তিনি বলেন, ‘মধ্যমমানের বা সাধারণ শিক্ষক শুধু বলেন, ভালো শিক্ষক ব্যাখ্যা করেন। উচ্চমানের শিক্ষক প্রদর্শন করেন এবং মহান শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন।’ (The mediocre teacher tells, the good teacher explains, the superior teacher demonstrates and The great teacher inspires.)

শিক্ষকতা সর্বকালের সবচেয়ে অন্যতম একটি মহান পেশা, এটি একটি জটিল কাজও বটে। এ পেশায় বিষয়বস্তু, পাঠ্যক্রম এবং মান সম্পর্কে বিস্তৃত জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। আর এ জ্ঞান অর্জন ও চর্চার কাজটি যে শিক্ষকগুলি করে থাকেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে মহান শিক্ষক। উদ্যম, যত্নশীল মনোভাব, শেখার প্রতি ভালোবাসা, শৃঙ্খলা, শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা কৌশল সম্পর্কে জানা এবং তরুণদের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছা জাগানোর মহৎ কাজটি এ মহান শিক্ষকরাই করে থাকেন। এ সমস্ত গুণাবলীর প্রয়োজনীয়তার সাথে একমাত্র মহান শিক্ষকরাই সম্পৃক্ত। সাধারণ ও ভালো শিক্ষকের পরিমান সমাজে বেশি থাকলেও প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান বজায় রাখতে মহান শিক্ষকের আবশ্যকতা অনেক বেশি। মহান শিক্ষকদের গুণগত বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন;


এক: মহান শিক্ষক সব ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চ প্রত্যাশা সেট করেন এবং তারা আশা করেন যে, সমস্ত শিক্ষার্থীই তাদের মেধা দিতে সমানভাবে জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম। তারা স্লো লার্নার বা ধীর শিক্ষার্থীদের অবহেলা করেন না, বরং তাদের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে তারা শিখিয়ে থাকেন।

দুই: মহান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য স্পষ্ট লিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে থাকেন। এ শিক্ষকদের পাঠ পরিকল্পনা থাকে, যেখানে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে, তাদের অ্যাসাইনমেন্টগুলি এবং গ্রেডিং নীতি কী হবে সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়া থাকে। অ্যাসাইনমেন্টে শিক্ষার্থীদের শেখার লক্ষ্য থাকে এবং তাদের নতুন দক্ষতা অনুশীলন করার যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে।


তিন: মহান শিক্ষক সর্বদা প্রস্তুত এবং সংগঠিত থাকেন। তারা সঠিক প্রস্তুতি গ্রহন করে শ্রেণীকক্ষে সময়মত উপস্থিত থাকেন এবং শুরুতেই শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ম-আপ করে নৈতিকতার শিক্ষা দেন। তারা পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী একটি পরিষ্কার এবং কাঠামোগত উপায়ে পাঠ উপস্থাপন করেন। তাদের শ্রেণীকক্ষগুলি এমনভাবে সংগঠিত থাকে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয় না। হোমওয়ার্ক বা ডায়েরি ওয়ার্ক থাকলে, তা তারা নীরিক্ষা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেরত দেন।

চার: মহান শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের শিখন কাজে জড়িত করেন এবং তাদেরকে দিয়েই প্রব্লেম সলভিং দক্ষতা বিকাশ করেন। এ শিক্ষকরা তথ্যকে একটি সূচনা বিন্দু হিসেবে ব্যবহার করেন, শেষ বিন্দু নয়; তারা “কেন” প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, সব দিকে তাকান এবং পরবর্তীতে কী ঘটবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন। শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করছে কথা না, তা নিশ্চিত করতে তারা ঘন ঘন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। তারা পুরো ক্লাসকে নিযুক্ত করার চেষ্টা করে এবং তারা কোন ছাত্র বা ছাত্রীকে ক্লাসে আধিপত্য বিস্তার করতে দেযন না। তারা বিভিন্ন, প্রাণবন্ত পন্থা দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে রাখেন।


পাঁচ: মহান শিক্ষকরা তাদের ছাত্রছাত্রীদের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করেন এবং দেখান যে তারা মানুষ হিসাবে তাদের যত্ন নেন। মহান শিক্ষকরা সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ, সদা হাস্যজ্জল, অ্যাক্সেসযোগ্য, প্রেরণাদানকার এবং যত্নশীল। এ শিক্ষকরা স্কুলের পরেও শিক্ষার্থীদের সময় দিয়ে থাকেন যেন তারা ও তাদের অভিভাবকগন যেকোন প্রয়োজনে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ মহান শিক্ষকগন স্কুল কেন্দ্রিক সকল কমিটি এবং কার্যক্রমের সাথে জড়িত থেকে স্কুলের প্রতিটি কমিটমেন্ট পূরণে সহযোগিতা করেন।

ছয়: মহান শিক্ষকরা তাদের পাঠন কর্মে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পন্ডিত হয়ে থাকেন। তারা যে বিষয়গুলি শেখাচ্ছেন তাতে দক্ষতা প্রদর্শন করে এবং তাদের ক্ষেত্রে নতুন জ্ঞান অর্জনের জন্য ক্রমাগত সময় ব্যয় করেন। তারা স্মার্ট পদ্ধতিতে পাঠ্য উপাদান উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষার্থীরা যেন নিজ থেকে আরও শিখতে চায়, তাদের মধ্যে এমন ক্ষুধা জাগিয়ে তোলেন।

সাত: মহান শিক্ষকরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের পিতামাতার সাথে যোগাযোগ করেন। তারা কনফারেন্স এবং ঘন ঘন লিখিত নোটিস বা প্রতিবেদনের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে তাদের সন্তানদের ব্যাপারে আপডেট দিতে থাকেন। তারা কোনো শিক্ষার্থীর বিষয়ে উদ্বিগ্ন হলে অভিভাবকদেরকে ফোন বা ইমেইল করে অবহিত করেন এবং তাৎক্ষণিক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

আট: একজন মহান শিক্ষক ছাত্রদের সম্মান করেন। তাদের শ্রেণীকক্ষে প্রতিটি ছাত্র বা ছাত্রীর ধারণা এবং মতামতকে তারা মূল্যবান মনে করেন। মহান শিক্ষকদের ক্লাসে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে নিরাপদ বোধ করে এবং অন্যদের সম্মান করতে এবং শুনতে শেখে। এ শিক্ষকগণ সমস্ত শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়েলকামিং পরিবেশ তৈরি করেন। শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ গ্রহন করতে প্রতিদিন স্কুলে আসতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

নয়: মহান শিক্ষকের শেখার প্রতি নিজস্ব ভালবাসা থাকে এবং শিক্ষার প্রতিও থাকে প্রবল আগ্রহ। তারা পাঠ্যবিষয়গুলি তাদের আবেগ ও প্রাণান্তকর বাচনভঙ্গি দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিখতে অনুপ্রাণিত করেন। শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য তিনি ক্রমাগত একজন পেশাদার হিসেবে নিজেকে নবায়ন করেন। এ শিক্ষকগণ নতুন শিক্ষার কৌশল শেখার বা পাঠে নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মনোযোগী হন। তিনি সর্বদা যা শেখেন তা সহকর্মীদের সাথে ভাগ করে নিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

দশ: মহান শিক্ষকদের নেতৃত্বগুনে দক্ষ হয়ে থাকেন। তারা শ্রেণিশিক্ষায় যেমন পারদর্শী, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজেও তাদের সম্পৃক্ততা বিজ্ঞচিত। মহান শিক্ষকগণ অংশীদারিত্বমূলক শিক্ষা, দলগত কাজসহ সর্বদা শিক্ষাবান্ধব সম্প্রদায় গঠনের উপর ফোকাস করেন। তারা তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্ব তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আজকের ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবে, মহান শিক্ষকগণ তাদের মধ্যে এ বোধটি জাগ্রত করেন। পরামর্শ বা সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করার কারণে নিজেকে দুর্বল ভাবার পরিবর্তে, এ শিক্ষকগণ সহকর্মীদের কাছ থেকে শেখার উপায় হিসাবে সহযোগিতাকে দেখেন। তারা গঠনমূলক সমালোচনা এবং পরামর্শকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে বেড়ে ওঠার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেন।

এছাড়াও একজন মহান শিক্ষক হতে তাকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হয়। যেমন;

১। কর্মদক্ষতা: একজন শিক্ষককে কর্মদক্ষ হতে হয়। মেধা চর্চার মাধ্যমে একজন বন্ধুত্বপূর্ণ শিক্ষক প্রতিনিয়ত স্ব-শিক্ষায় নিযুক্ত থাকেন। নিজের জ্ঞানকে সম্মৃদ্ধশালী করতে তাকে প্রচুর অধ্যয়ন করতে হয় এবং ইন্টারনেট বা বইপত্র ঘেটে তার শিক্ষণ কৌশলগুলি আস্থাশীল করে উপস্থাপন করতে হয়। তার প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জ্ঞান আহরণ করে শেখানো, গবেষণা করা এবং নিজেকে আরো দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া।

২। পাঠ্যবিষয়কে আনন্দপূর্ণ করা: মহান শিক্ষক তার পাঠ্যবিষয়গুলিকে বাগাড়ম্বরপূর্ণ ও আনন্দদায়ক করে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন। শুধুমাত্র ইতিবাচক আবেগই শিক্ষকের শেখানো বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে পারে। এ ধরণের শিক্ষক তাদের পাঠ্যবস্তুকে নানাবিধ পন্থায় হাস্যরসাত্মকভাবে পড়ানোর ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে দীর্ঘক্ষণ বসে পাঠ গ্রহনে ক্লান্ত হন না। বরং অত্যাধিক আনন্দপূর্ণ মনে করে এ সকল শিক্ষকের ক্লাসে তারা আসতে উত্তেজনা বোধ করে। শিক্ষাদান কৌশল আনন্দঘন না হলে শিক্ষার্থীরা নিরামিষ মনে করে পাঠগ্রহনে অনীহা প্রকাশ করে।

৩। ব্যক্তিত্বে স্বাতন্ত্র ও দায়িত্ববোধ: মহান শিক্ষকের স্বাতন্ত্র ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ক্ষমতা ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন পাঠদান কৌশল থাকতে হয়। কোন পেশাদার শিক্ষকের খারাপ ছাত্র বা ছাত্রী থাকে না। বরং তারা তাদের উন্নত ব্যক্তিত্ব প্রকাশ ও নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সৎ ও একনিষ্ঠভাবে পালন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী করতে পারেন। মহান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের গুণটি সময়ানুবর্তিতা, ভদ্রতা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতার সাথে দারুণভাবে সংযুক্ত। মহান শিক্ষককে প্রায়শই অনুসরণ করার উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাদের বেশভূষা, চালচলন ও ভাবভঙ্গি হতে হয় মার্জিত ও শালীন। অন্যথায়, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে, যেটা মহান শিক্ষকের বেলাতে প্রায়শই হয়ে থাকে। মোটকথা, একজন মহান শিক্ষক বলতে বুঝি, তার উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, আকর্ষণীয় কথোপকথন এবং দায়িত্ববোধ।

৪। সেন্স অফ হিউমার: এই বিস্ময়কর গুণটি শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের মিথস্ক্রিয়াকে অনেক সহজ করে তোলে, পরিমিত আন্তরিক বিশ্বাস তৈরি করে এবং শিক্ষার্থীদের ভুল থেকে ভয় না পেতে সাহায্য করে। এমন পরিবেশে শেখা অনেক সহজ। আর এটি হলো মহান শিক্ষকের একটি অন্যতম গুণ।

৫। মানবতা ও সহনশীলতা: মহান শিক্ষককে হতে হবে একজন মানবিক বন্ধু। তার সদয় ব্যবহার,
সহনশীলতা, সহানুভূতিশীলতা ও আন্তরিকতা থাকতে হয় এমন, যেন প্রতিটি শিক্ষার্থী একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। এমন একজন শিক্ষকের জন্য শিক্ষার্থীর সাফল্যই শ্রেষ্ঠ পুরস্কার এবং এর জন্য তারা অনেক কিছুই করতে প্রস্তুত। শিক্ষকের মানবিক গুনাবলী যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে, মহান শিক্ষককে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হয়।

৬। প্রতিভা বিকাশের ক্ষমতা: মহান শিক্ষক বুঝতে পারেন শ্রেণিকক্ষের কোন শিক্ষার্থীর প্রতিভা কতটুকু এবং কার মধ্যে কি পরিমান মেধা বিকাশের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন করে তাদের প্রতিভাকে জাগ্রত করা। প্রত্যেকের মধ্যে কী সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে তা খুঁজে বের করার জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়, যা মহান শিক্ষক অনায়াসে করে থাকেন।

৭। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: শিল্প বিপ্লবের এখন চতুর্থ ধাপ চলমান, আগামীতে এর পঞ্চম, ষষ্ঠসহ আরো অনেক ধাপ অতিক্রম করবে। প্রতি ধাপেই থাকছে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক পর্যায়ের প্রযুক্তির ব্যবহার, কম্পিউটার থেকে ডিজিটাল, এরপর স্মার্ট, তারপরে হয়ত আসবে সুপার স্মার্ট যুগ। সকল যুগেই সংযুক্ত হচ্ছে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদির ব্যবহার। একজন মহান শিক্ষককে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতায় আপডেটেড থাকতে হবে। ইন্টারনেট অব থিংকিং (আইওটি), আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই), চ্যাটজিপিটি, সোশ্যাল মিডিয়া অপারেশন এবং কারিগরি শিক্ষা চর্চাসহ সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মহান শিক্ষকগন শিক্ষার প্রকৃত শিখনফল আবিস্কার করতে সক্ষম হবেন।

অতএব, সকল মহান শিক্ষকই ভালো শিক্ষক। তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে আশা জাগান, কল্পনা শক্তি উদ্দিপ্ত করেন এবং শেখার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করেন। (A good teacher can inspire hope, ignite the imagination, and instill a love of learning. -Brad Henry)। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, “জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশের মধ্যে আনন্দ জাগ্রত করাই হলো মহান শিক্ষকের সর্বোত্তম শিল্প।” মোটকথা, তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে মহান শিক্ষকের বিকল্প নেই। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মানে শিক্ষকদেরকে মধ্যমমানের ভালো শিক্ষক নয়, বরং তাদেরকে উৎসাহদানকারী মহান শিক্ষক হতে হবে।

লেখক : প্রফেসর ডক্টর মো: মাহমুদুল হাছান,

এডুকেটর, প্রিন্সিপাল এবং  প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিসেন)

 

[বি.দ্র: মতামত/লেখা একান্তই লেখকের, যা হুবুহু প্রকাশিত হলো। এই লেখার সাথে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পর্ক নেই]

Facebook Comments Box

Posted ৬:২৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
অফিস

১১৯/২, চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com