সারাদেশ বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দিতে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্য পদের তথ্য দেওয়ার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করছে এনটিআরসিএ । এরপর পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ – এনটিআরসিএএ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। এনটিআরসিএ’র পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) কাজী কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনা) থেকে অনলাইনে এমপিওভুক্ত শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত। আর ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৯ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।
এতে বলা হয়, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় এনটিআরসিএ এর অধিভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে চাহিদা প্রদান করতে হবে। পূর্বের কোনো গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় চাহিদা কোনোভাবেই বহাল থাকবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সকল শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে হবে। অফলাইনে, হার্ডকপিতে অথবা ই-মেইলে কোনো চাহিদা গ্রহণযোগ্য হবে না। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে, কেবল তারাই শূন্য পদের তথ্য দিতে পারবে।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এনটিআরসিএ। এরপর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত শূন্যপদ ধরে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৫০ থেকে ৫৫ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা থাকতে পারে।
যেভাবে চাহিদা প্রেরণ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ তাদের নিজস্ব User ID এবং Password ব্যবহার করে ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট অথবা এনটিআরসিএ এর ওয়েবসাইটে ই-রিকুইজিশন নামক সেবা বক্সের ই-রিকুইজিশন লগইন অপশনে ক্লিক করে e-Requisition প্লাটফরমে অনলাইন ফরমটি পূরণপূর্বক শুধুমাত্র MPO ভুক্ত শুন্যপদের অধিযাচন প্রেরণ করবেন। সেক্ষেত্রে অনলাইন ফরমটি পূরণের সময় এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ই-রিকুইজিশন সংক্রান্ত নির্দেশিকাটি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কর্তৃক অনলাইনে ই-রিকুইজিশন দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা অফিসার তাদের নিজ নিজ User ID ও Password ব্যবহার করে ই- রিকুইজিশন প্লাটফরমে প্রবেশ করবেন এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কর্তৃক প্রেরিত শূন্য পদের তালিকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইপূর্বক অনলাইনে সাবমিট করবেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শূন্য পদের তালিকাটি ই-রিকুইজিশন গ্রহণকালে একই সঙ্গে আঞ্চলিক পরিচালক অথবা উপপরিচালকবৃন্দ যাচাই করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত শূন্য পদের তালিকায় কোন ভুল বা অসংগতি লক্ষ্য করলে আঞ্চলিক পরিচালক অথবা উপপরিচালক সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ই-রিকুইজিশনটি সংশোধনপূর্বক নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই এনটিআরসিএ বরাবর Submit করবেন।
তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শুধুমাত্র MPO ভুক্ত পদে শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা প্রদানের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো , কোন NON_MPO ভুক্ত পদে চাহিদা প্রদান করা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্ততে উল্লেখ করা হয়।
