বুধবার ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল থাকলেও নেই যাতায়াতের রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট

স্কুল থাকলেও নেই যাতায়াতের রাস্তা

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে উড়িয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবই আছে। নেই শুধু যাতায়াতের জন্য রাস্তা। যাতায়াতের পথ না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়। আর বৃষ্টির পানির কারণে বিদ্যালয়ের সামনে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে শুষ্ক মৌসুমে আবাদি জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিদ্যালয়ে সামনে নেই কোন নিজস্ব খেলার মাঠ। এতে করে কমলমতি শিশুদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যাতায়াতের কোন সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের। শুষ্ক মৌসুমে জমির আইল ও অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের সামনের জমিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ফলে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়ক না থাকায় ওই পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় কমলমতি শিশুদের। এতে করে মাঝে মধ্যেই ওই জলাবদ্ধ পানিতে পড়ে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ তাদের সঙ্গে থাকা বই-খাতা, স্কুল ব্যাগ ও স্কুল ড্রেস ভিজে যায়। এ কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করছে। ফলে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কমে গেছে।

অপরদিকে এই বিদ্যালয়ের সামনে নেই কোন খেলার মাঠ। ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য যেমন খেলাধুলা করতে পারছে না, তেমনি বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রম ও প্রাত্যহিক সমাবেশেও অংশ নিতে পারছে না।


অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা জানায়, সড়ক না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের সামনে পানি জমে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিশু শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের যাতায়াতের জন্য সড়ক চাই, খেলাধুলার জন্য মাঠ চাই।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শিমু আক্তার জানান, বৃষ্টির দিনে বিদ্যালয়ে আসতে বই, খাতা ও জামা ভিজে যায় তাই মা বিদ্যালয়ে আসতে দিতে চায় না। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নাবিল হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে
ক্ষেতের আইল ডুবে যায়, তাই সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসা অনেক কষ্টের। সরকার যেন দ্রুত আমাদের স্কুলের রাস্তা বানিয়ে দেয়।


অভিভাবক ইউসুফ আলী বলেন, আমার দুই মেয়ে এই স্কুলে পড়ে, বৃষ্টি হলে ক্ষেতের আইলে পানি উঠে যাতায়াতে ঝুঁকি হয়, তাই কাজ বাদ দিয়ে মেয়েদের স্কুলে রেখে আসতে হয়, এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই দ্রুত যেন রাস্তাটি বানিয়ে দেয়ার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য স্কুলের মাঠ বানিয়ে দেয়া হয়।

প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে বিদ্যালয়ে আসতে প্রতিদিনই ছাত্র- ছাত্রীদের বই খাতা ভিজে যায়। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ, মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় ভালো করতে পারছে না। এদিকে বিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ হলেও রাস্তা না থাকায় অতিরিক্ত খরচে মালামাল বহন করে কাজ করতে রাজি হননি ঠিকাদার।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
অফিস

চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com