শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুকুল ভিত্তিক বৈষ্ণব শিক্ষা ধারার স্বীকৃতি প্রয়োজন

প্রকৌশলী রিপন কুমার দাস   |   শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট

গুরুকুল ভিত্তিক বৈষ্ণব শিক্ষা ধারার স্বীকৃতি প্রয়োজন

বৈষ্ণব ধারা হিন্দুধর্মের ১টি শাখা সম্প্রদায়, বিশ্বের মোট হিন্দু জনসংখ্যার ৬৬ ভাগ বৈষ্ণব ধারায় বিশ্বাসী। এই সম্প্রদায়ের বিষ্ণু বা তাঁর অবতারগণ (মুখ্যত রাম ও কৃষ্ণ) আদি তথা সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজিত হন। হিন্দুধর্মের বহুদেববাদী ছত্রতলে থেকেও বৈষ্ণবধর্মে ভক্তির প্রসঙ্গে একেশ্বরবাদের ধ্বনি শোনা যায়। তবে এই ধারায় অন্যান্য আরাধ্য দেবতাদেরও স্বীকার করে নেওয়া হয়। বৈষ্ণবগণ ৪টি প্রধান শাখায় বিভক্ত। এই শাখাগুলিকে বলা হয় সম্প্রদায়। জীবাত্মা ও পরমাত্মা (বিষ্ণু বা কৃষ্ণ) সম্পর্কে এই চার সম্পর্কের মতের সূক্ষ পার্থক্য থাকলেও অধিকাংশ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল মতবাদ একই। শ্রী লক্ষী নারায়ন সম্প্রদায়ের দর্শন- রামানুজাচার্য কর্তৃক প্রচারিত বিশিষ্টাদ্বৈত মতবাদ, ব্রহ্মা সম্প্রদায়ের দর্শন-মাধবাচার্য কর্তৃক প্রচারিত দ্বৈত এবং চৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক প্রচারিত অচিন্ত্য ভেদ অভেদ মতবাদ, রুদ্র (শৈব) সম্প্রদায়ের দর্শন-বিষ্ণুস্বামী ও বল্লভ আচার্য কর্তৃক প্রচারিত শুদ্ধাদ্বৈত মতবাদ এবং নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের দর্শন-নিম্বার্ক কর্তৃক প্রচারিত দ্বৈতাদ্বৈত মতবাদ। এছাড়া রামানন্দ প্রচারিত রামানন্দি সম্প্রদায়, শ্রীমন্ত শঙ্করদেব প্রচারিত মহাপুরুষীয় ধর্ম, তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের বৈষ্ণব সহজিয়া নামে তিনটি উপসম্প্রদায় রয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মা সম্প্রদায়ের গৌড়ীয় মতের অনেক গুলো উপশাখা রয়েছে গৌড়ীয় মিশন, শ্রী গৌড়ীয় বেদান্ত সমিতি, শ্রী চৈতন্য সারস্বত মঠ, শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ, শ্রী গুরুপ্রপন্ন আশ্রম, ইসকন, শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য মিশন, শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দজী ট্রাষ্ট, শ্রী গোপীনাথ গৌড়ীয় মঠ, আন্তর্জাতিক বিশুদ্ধ যোগব্যায়াম সমিতি, শ্রী চৈতন্য সংঘ। এসকল মঠ ও মিশনের এক বা একাধিক আশ্রম, মন্দির, আখড়া ও মঠ আছে। অনেক মঠ বা মিশন পৃথক পৃথক ভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অথবা জয়েন্ট ষ্টক রেজিষ্টারের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করে গুরুকুলের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষার আলোর ফেসবুক পেজে লাইক দিন ও ফলো করুন (ক্লিক করুন)।


শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

বাংলাদেশে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার এক অনন্য ধারা গুরুকুল ভিত্তিক বৈষ্ণব শিক্ষা ব্যবস্থা। এ শিক্ষা ব্যবস্থার শেকড় প্রোথিত সমাজের গভীরে। বৈষ্ণব ধারা ও হিন্দু ধর্মের বিধানের সঙ্গে সমাজের আপামর হিন্দু জনগনকে সম্পৃক্ত করতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত এ শিক্ষা ব্যবস্থা। এ শিক্ষার মূখ্য উদ্দেশ্য হলো ভগবান বিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণের সন্তষ্টি অর্জন। এছাড়া পরলৌকিক মুক্তিসহ ইহলোকিক মানবতার বিকাশ সাধন এবং দেশ প্রেমিক যোগ্য নাগরিক তৈরি এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলেও এ শিক্ষা ব্যবস্থার কোন স্বীকৃতি নেই। এসব বিষয়াদী বিবেচনায় নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আলোকিত সমাজ গড়তে এই শিক্ষা ব্যবস্থার স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ শিক্ষা ব্যবস্থা স্বীকৃতি পেলে মানব সম্পদ তৈরিই শুধু এ শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে না। এ শিক্ষার আলোকে একজন ব্যক্তি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় জ্ঞানে বলিয়ান হওয়ার সাথে সাথে আধুনিক বিশ্ব ও মনন সম্বন্ধে অভিজ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং একজন দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আশানুরূপ যোগ্যতা ও ক্ষমতা লাভ করবে। তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার স্বীকৃতির জন্য সকল মঠ ও মিশনের সমন্বায় বাংলাদেশ ভক্তিবেদান্ত শিক্ষা বোর্ড নামে একটি একক শিক্ষা বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন এবং শিক্ষাদানের জন্য মঠ ও আশ্রমসমূহকে ভক্তিবেদান্ত গুরুকুল নামে অবহিত করা প্রয়োজন। এ শিক্ষায় স্নাতক সমমানকে ভক্তিশাস্ত্রী বা বৈষ্ণব শাস্ত্রী, স্নাতকোত্তর সমমানকে ভক্তি আচার্য বা বৈষ্ণবাচার্য, এমফিল সমমানকে বৈষ্ণব তত্ত্বাচার্য, পিএইচডি সমমানকে বৈষ্ণব বিদ্যাভারধি নামে অবহিত করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে বৈষ্ণবাচার্যকে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিষয়ের স্নাতকোত্তর সমমান প্রদান করা যেতে পারে।


শিক্ষার আলোর ফেসবুক পেজে লাইক দিন ও ফলো করুন (ক্লিক করুন)।

শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


এ শিক্ষা ব্যবস্থাটি বৈষ্ণব মাসের দিনপঞ্জি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। সকল পিরিয়ডের সময়মান হবে ৬০ মিনিট, বছরে ৪০সপ্তাহে মোট ২৪০দিন শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। ১২দিন করে মোট ২৪দিন বর্ষ মধ্য ও চুড়ান্ত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত থাকবে। সরকার নির্ধারিত ছুটিসহ বৈষ্ণব ব্রতসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক স্তর হবে ৮ বছর যা বৈষ্ণবাদ্যম নামে পরিচিত হবে, এর মধ্যে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি শুধু বৈষ্ণবাদ্যম, প্রতি সপ্তাহে প্রতি বিষয়ের ৪টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। ১ম শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (মুখস্ত), বৈষ্ণব সদাচার, মাতৃভাষা (১ম ভাষা), গণিত (ধারাপাত), ইংরেজী (২য় ভাষা), বৈষ্ণবগীতি+যোগ-ব্যায়াম। ২য় শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (মুখস্ত), বৈষ্ণব সদাচার, সংস্কৃত (৩য় ভাষা), মাতৃভাষা, গণিত (ধারাপাত), ইংরেজী, বৈষ্ণবগীতি+যোগ-ব্যায়াম। ৩য় শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (মুখস্ত), বৈষ্ণব সদাচার, সংস্কৃত, হিন্দি (৪র্থ ভাষা), মাতৃভাষা, গণিত, ইংরেজী, সমাজ+বিজ্ঞান, বৈষ্ণবগীতি+যোগ-ব্যায়াম। ৪র্থ শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (মুখস্ত), বৈষ্ণব সদাচার, সংস্কৃত, হিন্দি, মাতৃভাষা, গণিত, ইংরেজী, সমাজ +বিজ্ঞান, বৈষ্ণবগীতি+যোগ-ব্যায়াম। ৫ম শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (মুখস্ত), বৈষ্ণব সদাচার, সংস্কৃত সাহিত্য, হিন্দি, মাতৃভাষা, গণিত, ইংরেজী, সমাজ+বিজ্ঞান, বৈষ্ণবগীতি+যোগ-ব্যায়াম। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি শুধু বৈষ্ণব উচ্চাদ্যম নামে পরিচিত হবে যা প্রতি সপ্তাহে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি প্রতি বিষয়ের ৪টি ও অষ্টম শ্রেণিতে ৩টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা পাঠ ও পঠননীতি, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য, হিন্দি সাহিত্য, বৈষ্ণব সদাচার, মাতৃভাষা ও ব্যাকরণ, গণিত, ইংরেজী, সমাজ+বিজ্ঞান, কম্পিঊটার + কৃষিশিক্ষা। ৭ম শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা পাঠ ও পঠননীতি, হিন্দি সাহিত্য ও ব্যাকরণ, সংস্কৃত ব্যাকরণ শব্দবিধি, মাতৃভাষা ও ব্যাকরণ, গণিত, ইংরেজী ও গ্রামার, সমাজ+বিজ্ঞান, কম্পিঊটার+ভূগোল, বৈষ্ণবগীতি সঞ্চয়ন। ৮ম শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা পাঠ ও পঠননীতি, সংস্কৃত সাহিত্য, সংস্কৃত ব্যাকরণ শব্দ বিধি, সংস্কৃত ব্যাকরণ বাক্য বিধি, হিন্দি সাহিত্য ও ব্যাকরণ, বৈদিক ইতিহাস, মাতৃভাষা ও ব্যাকরণ, গণিত, ইংরেজী ও গ্রামার, সমাজ+বিজ্ঞান, কম্পিঊটার + ভূগোল, বৈষ্ণবগীতি সঞ্চয়ন। এছাড়া গীতা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তির নূন্যতম বয়স হতে হবে ৬ বছর। গীতা পাঠ শুরুর কমপক্ষে ১ বছর পুর্ব থেকে শুদ্ধভাবে দেখে দেখে কয়েকবার শ্রীমদ্ভাগবদগীতা পাঠ করতে হবে। গীতা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা মুখস্ত করতে হবে। শ্রীমদ্ভাগবদগীতা মুখস্তকারী শিক্ষার্থীকে এক বছরে প্রাথমিক স্তরের পুস্তকসমূহ বিশেষ ব্যবস্থায় পড়িয়ে সেই শিক্ষার্থীকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

শিক্ষার আলোর ফেসবুক পেজে লাইক দিন ও ফলো করুন (ক্লিক করুন)।

শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

মাধ্যমিক স্তর হবে ৪ বছর যা বৈষ্ণবমধ্যম নামে পরিচিত হবে, এর মধ্যে ৯ম শ্রেণি থেকে ১২শ শ্রেণি শুধু বৈষ্ণব মধ্যম নামে পরিচিত হবে যা প্রতি সপ্তাহে প্রতি বিষয়ের ৩টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। ৯ম ও ১০ম শ্রেণি বৈষ্ণবমধ্যম এর ৯ম শ্রেণিতে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যএবং অনুবাদ, সংস্কৃত ব্যাকরণ শব্দবিধি, সংস্কৃত ব্যাকরণ বাক্যবিধি, বৈদিক ইতিহাস, বৈদিক যুক্তিবিদ্যা, মাতৃভাষা ও ব্যাকারণ, ইংরেজী ও গ্রামার, গনিত+বিজ্ঞান, যজু:বেদীয় উপনিষদ (কঠো), সাম ও ঋগবেদীয় উপনিষদ (কেন, ঐতরেয়, কৌষীতকী), অথর্ববেদীয় উপনিষদ (প্রশ্ন, মুন্ডক, মান্ডুক্য), বৈষ্ণব উপনিষদ (কালিসন্তরণ, পুরুষবোধিনি, চৈতান্য)। ১০ম শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (অনুবাদ), শ্রীউপদেশামৃত, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য, সংস্কৃত অনুবাদ ও রচনা, সংস্কৃত ব্যাকরণ বাক্য বিধি, বৈদিক ইতিহাস, বৈদিক যুক্তিবিদ্যা, মাতৃভাষা ও ব্যাকারণ, ইংরেজী ও গ্রামার, গনিত+বিজ্ঞান, যজুঃবেদীয় উপনিষদ (শ্বেতাশ্বতর), বৈষ্ণব উপনিষদ (অব্যক্ত, বাসুদেব, রামতাপিন, নারাযণ)। ১১শ ও ১২শ শ্রেণি বৈষ্ণব উচ্চ মধ্যম এর ১১শ শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা (অনুবাদ), ভক্তিরসামৃত সন্ধি, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম গদ্য, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম পদ্য + অনুবাদ ও রচনা, সংস্কৃত ব্যাকরণ বাক্য বিধি, বৈদিক অলংকার বিদ্যা, বৈদিক ইতিহাস, বৈদিক যুক্তিবিদ্যা, মাতৃভাষা ও ব্যাকারণ, ইংরেজী ও গ্রামার, যজুঃবেদীয় উপনিষদ (ঈশ, তৈত্তিরীয়, মৈত্রেয়ী), বৈষ্ণব উপনিষদ (গরুড়,দত্তাত্রেয়,কৃষ্ণ,গোপালতাপিনি)। ১২শ শ্রেণিতে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা অনুবাদ, বৈষ্ণব সদাচার, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম(গদ্য), সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম(পদ্য) + অনুবাদ ও রচনা, বৈদিক অলংকার বিদ্যা, বৈদিক ইতিহাস, হিন্দু দায়ভাগ , বৈদিক রাষ্ট্র বিজ্ঞান, মাতৃভাষা + ব্যাকরণ, ইংরেজী + গ্রামার, বৈষ্ণব উপনিষদ (তারসার, হয়গ্রীব, রামরহস্য), পতাঞ্জলী যোগশাস্ত্র ।
স্নাতক (সম্মান) হবে ৪ বছর মেয়াদী যা উপাধি ডিগ্রি হিসাবে ভক্তিশাস্ত্রী বা বৈষ্ণব শাস্ত্রী নামে পরিচিত হবে যার প্রতি সপ্তাহে প্রতি বিষয়ের ৩টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। ১ম বর্ষে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার নীতিমালা-১, শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার নীতিমালা-২, শ্রীমদ্ভাগবদ, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম গদ্য, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম পদ্য এবং অনুবাদ ও রচনা, বৈষ্ণবরস ও অলংকার বিদ্যা, বৈদিক ইতিহাস, বৈদিক দর্শন, বৈষ্ণব সদাচার বিষয়ক জ্ঞান, বৃহদারণ্যক উপনিষদ, বৈষ্ণব উপনিষদ (মহানারায়ণ), শ্রীচৈতান্য চরিতামৃত। ২য় বর্ষে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার নীতিমালা-১, শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার নীতিমালা-২, শ্রীমদ্ভাগবদ, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম পদ্য + অনুবাদ ও রচনা, সংস্কৃত শব্দালংকার, বৈষ্ণব সদাচার বিষয়ক জ্ঞান, বৈদিক রাষ্ট্র বিজ্ঞান, বৈষ্ণব উপনিষদ (নৃসিংহতাপিনী), ছান্দোগ উপনিষদ, ধনুর্বেদ (উপবেদ), আয়ুর্বেদ (উপবেদ), শ্রীচৈতান্য চরিতামৃত। ৩য় বর্ষে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার নীতিমালা, শ্রীমদ্ভাগবদ-১, শ্রীমদ্ভাগবদ-২, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম গদ্য, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ২য় পদ্য (অনুবাদ ও রচনা), বৈষ্ণব সদাচার বিষয়ক জ্ঞান, ছান্দোগ উপনিষদ, বৃহদারণ্যক উপনিষদ, গন্ধর্ববেদ (উপবেদ), বৈষ্ণব পদাবলী পরিচয়, বেদাঙ্গ জ্যোতিস, শ্রীচৈতান্য চরিতামৃত। ৪র্থ বর্ষে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ব্যাখ্যা ও ব্যাখ্যার নীতিমালা, শ্রীমদ্ভাগবদ-১, শ্রীমদ্ভাগবদ-২, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ১ম গদ্য, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য ২য় পদ্য (অনুবাদ ও রচনা), বৈষ্ণব সদাচার বিষয়ক জ্ঞান, অর্থশাস্ত্র (উপবেদ), ছান্দোগ উপনিষদ, বৈষ্ণব সংহিতা, বৈষ্ণব তন্ত্র, শ্রীচৈতান্য চরিতামৃত, চৈতান্য ভাগবদ।

শিক্ষার আলোর ফেসবুক পেজে লাইক দিন ও ফলো করুন (ক্লিক করুন)।

শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

স্নাতকোত্তর হবে ১ বছর মেয়াদী যা উপাধিত্তর ডিগ্রি হিসাবে ভক্তি আচার্য বা বৈষ্ণবাচার্য নামে পরিচিত হবে যার প্রতি সপ্তাহে প্রতি বিষয়ের ৩টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয়ের ১২টি করে পত্র থাকবে ও ১০০নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৈষ্ণবাচার্যের বিষয়সমূহঃ ১। গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শন, ২। মুখ্য উপনিষদ, ৩। বৈষ্ণব উপনিষদ, ৪। বৈষ্ণব সংহিতা, ৫। বৈষ্ণব তন্ত্র, ৬। বিষ্ণু পুরাণ, ৭। গরুর পুরাণ, ৮। নারদ পুরাণ, ৯। শ্রীমদ্ভাগবদ পুরাণ, ১০। পদ্ম পুরাণ, ১১। বরাহ পুরাণ, ১২। মহাভারত, ১৩। রামায়ন, ১৪। যোগ-ব্যায়াম, ১৫। শ্রীমদ্ভাগবদগীতা স্টাডিজ, ১৬। জ্যোতিস। বৈষ্ণব শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষ্ণবাচার্য সমাপনকারী ছাত্ররা উপাধিত্তর স্তরে পঠিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য ১ বছর কিংবা ২ বছর মেয়াদে একটি বিষয়ে আত্মস্থ করার মানসে বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। যা বৈষ্ণব তত্ত্বাচার্য ও বৈষ্ণব বিদ্যাভারধি নামে সমধিক পরিচিত হবে। সে লক্ষ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সমাপ্তকারী শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক এ শিক্ষা এমফিল বা পিএইচডির সমমানে বিবেচনা করে সেভাবে মূল্যায়ন করার প্রয়োজন হবে। সে হিসেবে বৈষ্ণব তত্ত্বাচার্য দু’বছরের এবং বৈষ্ণব বিদ্যাভারধি নিবন্ধনের সময় হতে অনধিক ৪ বছরের মধ্যে শেষ করার ব্যবস্থা করা। গবেষণার মাধ্যম হবে প্রধানত সংস্কৃত, বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি।

লেখক: প্রকৌশলী রিপন কুমার দাস, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর, ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী।

ই-মেইল: ripan.edu48@gmail.com

[ মতামতটি একান্ত লেখকের নিজস্ব, সম্পূর্ণ লেখাতে শিক্ষার আলো ডট কমের কোন সংযোজন কিংবা বিয়োজন নেই]

শিক্ষার আলোর ফেসবুক পেজে লাইক দিন ও ফলো করুন (ক্লিক করুন)।

শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

Facebook Comments Box

Posted ৮:১৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
অফিস

১১৯/২, চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com