ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শমশের নগর গ্রাম। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে এখানকার বুড়ি ভৈরব নদীর পাড়ে তৈরি করা হচ্ছে ১২৩ ফুট উচ্চতার টাওয়ার। যাতে স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। নামকরণ করা হয়েছে “দ্যা স্ট্যাচু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম”।
আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতেই এমন উদ্যোগ। বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ৬ তলার এই টাওয়ারে আরও থাকবে গ্রন্থাগার ও স্পোর্টিং ক্লাব। নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেক দর্শনার্থী।
শমশের নগরের সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে স্থাপন হওয়ায় এ ভাস্কর্যের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য স্ট্যাচু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম’। এটির ডিজাইন করেছেন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার কীর্তিবাস রায় ও আজাদ রানা। ভাস্কর্য ও জাদুঘর বাস্তবায়নে নিয়োজিত আছেন সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, কলেজের সভাপতি ডা. রাশেদ শমসেরসহ আয়োজকরা।
শমশের নগর সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. রাশেদ শমসের বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের জন্য ২০টি আবক্ষ ভাস্কর্য এবং ‘দ্য স্ট্যাটু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম’-এর মূল নকশা অনুযায়ী সব কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যেই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, মূলত এই টাওয়ারে এটাই বোঝানো হয়েছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ ফুট এবং ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ২৩ বছরকে ২৩ ফুট ধরা হয়েছে। মোট ১২৩ ফুট উপরে ভাস্কর্যটি স্থাপন করে মূল বিষয়বস্তু হিসেবে বোঝানো হয়েছে। ৮ তলা বিশিষ্ট ১২৩ ফুট উচ্চতায় এই টাওয়ার নির্মাণ করে তার উপরে জাতির পিতার ভাস্কর্য বসানো হয়েছে। এ টাওয়ার নির্মাণে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। কাজ শেষ হতে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই টাওয়ারে ১২৩ ফুট উপরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বসানো হয়েছে। এতো বেশি উচ্চতায় কোনো রাষ্ট্রনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন বিশ্বে এটিই প্রথম বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোছা. নর্গিস খাতুন শিক্ষার আলোকে বলেন, আমি কখনও এতো বড় টাওয়ার দেখিনি। শমসেরনগর গ্রামের ১২৩ ফুট উচ্চতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি দেখতে অনেক সুন্দর হবে। তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ এই টাওয়ার দেখার জন্য আমাদের গ্রামে আসবে।