নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
মনে পড়ে সেই ১৬ই মার্চ ২০২০ সাল , যখন করোনার বিস্তাররোধে ১৭ই মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ প্রতিটা দিন প্রতিটা সময় যেভাবে পার করছি, সেদিন সেই সময় কিন্তু কল্পনাও করতে পারিনি! ভেবেছিলাম কয়েকদিন ঘরে থাকলে , একটু সচেতন হলে; হয়তো এই সময়টা সহজে আমরা পার করতে পারবো। কেও ভাবতেও পারিনি , এটা এরুপ মহামারির রুপ নিবে এবং বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতে কঠোর লকডাউনে যেতে পারা না পারার অবস্থায় থাকলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ধাপে ধাপে বাড়তেই থাকে। একজন শিক্ষক ও একজন মমতাময়ী মা হিসাবে ক্রমাগত ভাবতে থাকি কিভাবে শিশু সন্তানকে শিক্ষা দেওয়া যায়, কিভাবে তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটানো যায়। কেননা শিশুরা একরকম ঘরবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তারা তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারছে না। তারা বুঝতেই পারছে না, বন্ধু বান্ধবের সাথে মেলামেশা করতে পারছে না, পারছেনা সহপাঠীর সাথে নানা রকম খেলাধূলায় মেতে থাকতে। কিভাবে তারা সময় পার হবে। প্রতিদিন এরুপ নানা বিষয় আমাকে তাড়িত করে। সহকর্মীদের সাথে বিষয়টা নিয়ে আমার প্রায়ই কথা হয় মুঠোফোনে, কথা হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথেও প্রতিনিয়ত।
সম্মিলিতভাবে ঠিক করি নিজের করণীয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় বের করি সন্তানের সাথে খেলা করা ও তার মানসিক বিকাশে সাধনের জন্য। তার পড়ালেখা যেনো বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য সমস্ত দায়িক্ত তুলে নিই নিজের কাঁধের উপর এবং বন্ধুর মতো মিশতে থাকি সন্তানের সাথে। রুটিন মাফিক পড়াতে থাকি, অনলাইনে বিভিন্ন ক্লাস দেখানোর সকল ব্যবস্থা করে দিই। ছবি আঁকতে উৎসাহিত করি।বিভিন্ন ধরণের উপকরণ সরবরাহ করতে থাকি, যা দিয়ে সে নতুন নতুন কিছু তৈরি করতে পারে। তাকে নানাবিধ সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা করি। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য শিশুতোষ বই পাঠে উৎসাহিত করি।বিভিন্ন রকম ইনডোর গেম খেলতে থাকি তার সাথে।
আমি জানি, শিক্ষক হিসাবেও আমার দায়িক্ত ও কর্তব্যও কম নয়। তাই আমি আমার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথেও মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ করি, পড়া দিতে থাকি, সময়মতো বাড়ির কাজও নিতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন স্কুলেও লাইভ ক্লাস
নিতে থাকি। যাদের সুযোগ আছে তাদের সাথে অনলাইনে বিভিন্ন এ্যাপসের মাধ্যমে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক পরিচালিত ও প্রচারিত শিক্ষা কার্যক্রম দেখার জন্য অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছি। ‘ঘরে বসে শিখি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুরা ঘরে বসে কিভাবে শিখতে পারে সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলার সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই।
আমি আমার সন্তানকে যেভাবে আনন্দে রাখার, শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, পাশাপাশি আমার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মায়েদেরও অনুপ্রানিত করে যাচ্ছি। তারাও যেন তাদের সন্তানদেরকে সেইভাবে নিরাপদ রাখেন, আনন্দে রাখেন এবং আনন্দে শেখানোর চেষ্টা করেন।“Mother is the second teacher” – এটা তাদেরকে বোঝাতে থাকি। সন্তানই প্রতিটা মায়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কাজেই , তাদেরকে প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলাই হল একজন মায়ের প্রধান কাজ। আর একজন মা কেবল তার শিশু সন্তানকে সঠিক মানসিক বিকাশ সাধন করতে পারে এবং জীবন গঠনের অন্যতম বাহক হিসাবে ভূমিকা রাখতে পারে।
লেখক: শামসুন নাহার জেবা, শিক্ষক ও কলামিষ্ট, ঝিনাইদহ।
আপনি কি শিক্ষক? লেখক ? কিংবা গবেষক ?
আপনি কি আপনার লেখা প্রকাশ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আর দেরি না করে আজই আমাদেরকে লিখে পাঠান, লিখতে পারেন নিয়মিতও। আমরা প্রকাশ করবো আপনার লেখা।
যেসব বিষয়ে লেখা পাঠাবেন:
শিক্ষা বিষয়ক যেকোন সংবাদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ ঐ প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নানা স্মৃতি ও কথা, গল্প, কবিতা, সমসাময়িক শিক্ষা নিয়ে যেকোন ফিচার/কলাম, শিশু/নারী অধিকার নিয়ে ফিচার/কলাম, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে ফিচার/কলাম, জনকল্যাণ ও মানবকল্যাণে নিয়োজিত ব্যক্তিদের উপর ফিচার/কলামসহ; শিক্ষা, সামাজিক, মানবিক ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধন করে এমন যেকোন বিষয় তুলে ধরতে পারেন আপনার লেখনীর মাধ্যমে।
লেখা পাঠানোর নিয়ম:
১। লেখাটি অবশ্যই বিজয়/ইউনিকোডে লিখতে হবে।
২। লেখা/সংবাদের সাথে ছবি পাঠাতে হবে। ফিচার/কলাম হলে লেখকের ছবি দিতে হবে।
৩। লেখার নিচে আপনার নাম ও কর্মস্থলের ঠিকানাসহ স্বচল মোবাইল নং লিখতে হবে।
৪। লেখাটি অবশ্যই আমাদের পত্রিকার মেইলে পাঠাতে হবে। অন্যকোনস্থানে পাঠানো লেখা প্রকাশিত হবে না।
৫। কোন কপি-পেষ্ট লেখা গ্রহণযোগ্য নয়, এটি সম্পূর্ণ আপনার নিজের লেখা হতে হবে।
৬। লেখাটি অবশ্যই ইউনিক হতে হবে, আমাদের কাছে পাঠানোর পূর্বে এই লেখাটি আপনার ফেসবুক ওয়ালে কিংবা অন্যকোন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকলে; সেই লেখা পাঠানো হতে বিরত থাকুন।
৭। লেখাটি অবশ্যই কমপক্ষে ১৫০০-২০০০ শব্দের হতে হবে।
সতর্কতা: লেখাটি কপি-পেষ্ট ধরা পড়লে কিংবা আমাদের কাছে পাঠানোর পূর্বে এই লেখাটি আপনার ফেসবুক ওয়ালে কিংবা অন্যকোন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকলে; আপনার এই লেখাতো প্রকাশ হবেই না বরং কখনোই শিক্ষার আলো অনলাইন পত্রিকায় আপনার আর কোন লেখা/সংবাদ প্রকাশিত হবে না।
লেখা পাঠাবেন : shiksharalo.news@gmail.com
লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কল করুন: 01644-037791
শিক্ষার আলো ডট কমের ফেসবুক পেজে লাইক দিতে ক্লিক করুন। সকল সংবাদের সাথে থাকুন: https://web.facebook.com/shiksharalo.official
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। লাইভ অনুষ্ঠান (টকশো, গান ও কবিতার আসর), আইটি ট্রেনিং ও অনলাইন ক্লাসের ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই শিক্ষার আলো ডট কমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
শিক্ষার আলো ডট কমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।
Posted ২:৪৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো