তিথি বালা | রবিবার, ০৯ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
একটি জাতিকে সুসংহত করার জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনাতীত। সুশিক্ষা মানুষকে মার্জিত হতে শেখায়। একজন মানুষের শিক্ষার আতুরঘর হচ্ছে তার পরিবার। পরিবার থেকেই প্রধানত মানুষ আচরণিক শিক্ষাগুলো পায়। আর সেটাকে সংস্কার করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। মানুষের জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থী যখন তার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যায় তখন তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে যেতে হয়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাকে সেখানে থাকতে হয়। এই সময়টা সে শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে কাটায়। শিক্ষার্থীর শিক্ষা-জীবনের সমগ্র সময় জুড়েই থাকে শিক্ষকের দৃপ্ত পদচারণা। কোন কোন শিক্ষককে শিক্ষার্থী তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। শিক্ষকের পাঠদান, চলা-বলা, পোশাক-পরিচ্ছদ সবই শিক্ষার্থীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো। প্রত্যেক শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাইরে কিংবা একাডেমিক কাজ ছাড়াও কথা বলার সময় দিতে হবে। শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের সময় দেন তা হলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় ভালো হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকরা শুধু শিক্ষক নয় অনেকটা গাইড, ফিলোসফারের মতো। কেননা, বাংলাদেশের বাস্তবতায় সব শিক্ষার্থী শিক্ষিত পরিবার থেকে আসে না। তাদের কাছে শিক্ষকরাই হন সবচেয়ে কাছের মানুষ।
একজন শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীরা সন্তান সমতুল্য। শিক্ষকের শাসন, স্নেহ, ভালোবাসায় সিক্ত হলে শিক্ষার্থীর শিখন কার্যক্রম অত্যন্ত দ্রুত ও ফলপ্রসূ হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয় তাতে করে শিক্ষার্থীর শিখন দীর্ঘস্থায়ী রূপ লাভ করে। শিশু বয়স থেকে শিক্ষার্থী সঠিক পরিচর্যা ও সুশিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে সে একজন ভালো মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। শিক্ষকের যত্নে অনেক দুর্বল শিক্ষার্থীও জীবনে আশার আলো খুঁজে পায়। শিক্ষকের ইতিবাচক অনুপ্রেরণায় অনেক শিক্ষার্থীর জীবনের গতিপথই পরিবর্তীত হয়ে যায়।
সমাজ তথা জাতি গঠনের নেপথ্যে নায়ক হলেন শিক্ষক সমাজ। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক যত মধুর হবে দেশ তথা জাতির মেরুদণ্ডও তত শক্ত হবে আর সুন্দর হবে আগামীর ভবিষ্যৎ।
লেখক : তিথি বালা , শিক্ষক ও কলামিস্ট , গোপালগঞ্জ।
Posted ১২:০৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ জুন ২০২৪
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো