বৃহস্পতিবার ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিক শিক্ষকের পদোন্নতি, বেতন ও মামলা

মরার আগে শিক্ষকের পদোন্নতিটা দেখার সুযোগ করে দিন

মোঃ আবুল বাসার খান   |   শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট

মরার আগে শিক্ষকের পদোন্নতিটা দেখার সুযোগ করে দিন

বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সরকারি অন্যান্য অফিসে চাকুরীজীবিদের ন্যায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।কিন্তু অন্যান্য অফিসে যারা চাকুরী করেন তাদের বেতন,পদমর্যাদা ও পদোন্নতির জন্য কোন আন্দোলন বা দেন-দরবার করার প্রয়োজন হয়না।ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় যথাসময়ে সবকিছু হয়ে যায়।কিন্তু পরিতাপের বিষয় যত সমস্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।

প্রাথমিক শিক্ষা তথা শিক্ষকবৃন্দের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সদাসয় সরকার আলাদা মন্ত্রনালয়, মাননীয় মন্ত্রী, সচিব নিয়োগ দেয়ার পরও কাজের গতি এখনও বয়স্ক কচ্ছপের গতির ন্যায় চলমান।যার কারণে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগকৃতদের মধ্যে কতিপয় নতুন পরিপত্রের কারনে অর্থাৎ যারা এস,এস, সি পাস শিক্ষক ছিলেন তারা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন। আর সংখ্যা লঘু ২/৪ জন শিক্ষকের মামলার কারণে বহু বছর পদোন্নতি বন্ধ থাকায় পদোন্নতির আশা হৃদয়ে রেখে কাফনের কাপড় জড়িয়ে কবরে চলে যেতে হয়েছে।


তারপর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসলো চলতি দায়িত্ব। এতে একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পেয়ে কতিপয় শিক্ষক পদোন্নতির অপেক্ষায় পদোন্নতি নামক ঝুলন্ত মূলার নিচে মুখ হা করে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষারত। তারই মাঝে চলে টালবাহানা ও মামলা।কয়েকদিন আগে নেত্রকোনার পদোন্নতির পরিপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলো।দেখে ও শুনে ভালো লাগলেও; বাকি ৬৩ জেলায় যারা দীর্ঘদিন পদোন্নতির অপেক্ষায় তাদের সন্তান, আত্নীয় ও অন্যান্যরা যখন প্রশ্ন করে যে; তোমার পদোন্নতির কী খবর? এর কোন উত্তর ঐ শিক্ষক দিতে না পারলেও মনের অযান্তে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে দুচোখে পানি জমে। সেজন্য উত্তরটা আমাদের কর্তৃপক্ষের নিকট বিনয়ের সহিত জানতে চাচ্ছি, আর কতো অপেক্ষা ও চোখের জল ঝরলে শিক্ষক সমাজের মুক্তি মিলবে।সারাজীবনে একটা পদোন্নতি তার জন্য আর কতো লজ্জিত হতে হবে। হায়রে কপাল, হায়রে শিক্ষক!!

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে সুনিপুণভাবে ঐ কাজ সমাপ্ত করতে সক্ষম। কিন্তু কেন তাদের বেতনস্কেল, পদমর্যাদা, পদোন্নতি ও অন্যান্য সুবিধার জন্য আন্দোলন করতে হয়; এটা আমার বোধগম্য নয়।তাই বিনয়ের সহিত নীতিনির্ধারকদের নিকট আবেদন, জাতি গঠনের কারিগর যদি শিক্ষক হয় ,তাহলে তাদের উন্নয়নের জন্য ও নীতিনির্ধারকদের গবেষণা করা ফরজ।


শিক্ষক প্রতিকূলতা মুক্ত হলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন অনিবার্য। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ শিক্ষকের সকল প্রতিকূলতা দূর করার ব্যবস্থা করুন।তাহলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন অনিবার্য। পদোন্নতি অতিদ্রুত সারাদেশে একসাথে দেয়ার জন্য শিক্ষকের কোন ভূমিকার প্রয়োজন হলে তা দিতে শিক্ষক সমাজ সব সময় প্রস্তুত।

তবুও; মরার আগে তাদের পদোন্নতিটা দেখার সুযোগ করে দিন।


শিক্ষার আলোর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

লেখক: মোঃ আবুল বাসার খান (সহকারী শিক্ষক)।

যুগ্ম মহাসম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি

এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা কমিটি।

Facebook Comments Box

Posted ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
অফিস

চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com