ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
তার গোলেই বিশ্বজয় করেছে স্পেন। ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জয় করে নিয়েছে স্প্যানিশ মেয়েরা। ২৩ বছর বয়সী স্পেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনার একমাত্র গোলেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছে ‘লা রোজা’রা।
কিন্তু বিশ্বজয়ের আনন্দ ঘণ্টাখানেক পরই বিষাদে রূপ নিয়েছে ওলগা কারমোনার জন্য। কারণ, মেয়ের বিশ্বজয়ের ঠিক একঘণ্টা পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্পেন অধিনায়কের বাবা। দীর্ঘদিন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন কারমোনার বাবা।
রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) পক্ষ থেকে স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের বাবার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করে। আরএফইএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কারমোনার বাবার দীর্ঘ অসুস্থতার কথা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ওলগা কারমোনার বাবার প্রয়াত হওয়ার খবর জানাচ্ছে। বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার পরেই ওলগাকে এই দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে।’
বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে কারমোনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘জানতামই না আজ জীবনে কী ঘটতে চলেছে। সেটা না জেনেই ফাইনালে খেলতে নেমেছিলাম। জানি, আজ যে কীর্তি গড়লাম, তার পিছনে তুমিই শক্তি। জানি, উপর থেকে তুমি আমাকে এখন দেখছ। আমার জন্য গর্ব অনুভব করছ।’
সতীর্থরাও ওলগার বাবার মৃত্যু শোকে শোকাতুর হয়ে ওঠেন। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ পুরো দলের ভেতর থেকে উবে যায়। ওলগার সতীর্থরা শোক প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমরা তোমাকে ভালোবাসি ওলগা, তুমি স্পেনের ফুটবল ইতিহাস নতুন করে লিখলে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালে ২৯ মিনিটের মাথায় গোল করেন ওলগা। বাঁ-প্রান্তে বল পান স্পেনের অধিনায়ক। তিনি বক্সের মধ্যে ঢুকে বাঁ পায়ে মাটি ঘেঁষা শট করেন। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক ম্যারি আর্পস হাত লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। এটিই হয়ে গেলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের একমাত্র নিয়ামক।
গোল করার পরই সাইডলাইনের দিকে ছুটে যান ওলগা। ছোটার সময় নিজের জার্সি তুলে ধরেন তিনি। নীচে আর একটি জার্সিতে স্পেনের ভাষায় লেখা ছিল ‘মের্চি’। বার বার আঙুল দিয়ে সেই বার্তার দিকেই দেখাচ্ছিলেন ওলগা।
‘মের্চি’র অর্থ ‘বাই’। এই বার্তার মাধ্যমে ওলগা কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, তা নিয়ে নানা রকমের কথা সামনে আনছিলো। অনেকেই বলছিলেন, হয়তো বাবার কথাই বলতে চেয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে ওলগা বলেন, ‘আমরা জানতাম যে ইংল্যান্ড খুব কঠিন একটা দল। তাই ওদের হারাতে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হত। সেটাই করেছি। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ভাল খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতব সেটা ভাবতে পারিনি। আমি বাক্রুদ্ধ। কী বলব বুঝতে পারছি না।’
Posted ৬:১৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো