ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
-সংগৃহীত
সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ এবং রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ইউনেস্কোর সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এই আহ্বান জানান তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ এবং রূপান্তরিত করতে হবে। যাতে আজীবন সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
এসময় ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক এডিজি স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি এবং সেনেগাল, বেনিন ও ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজির টার্গেট ৪ দশমিক ৬ অর্জন করা। জীবনব্যাপী যা শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।
দীপু মনি উল্লেখ করেন, আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষেকে সহায়তা করতে হবে। তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে। সাক্ষরতা এই সমস্ত কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে। কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য স্টেকহোল্ডার এবং সম্প্রদায় বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়েছে।
দর্শকদের দীপু মনি জানান, এটি জিও, এনজিও এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার ভালো অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আমরা জীবনব্যাপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার উপর গুরুত্বারোপ করছি। এটি সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতা বিকাশ ও জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে করা হবে।
জনগণের জন্য ভালো আগামীকে সুরক্ষিত করতে এবং ক্রান্তিকালীন ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই প্রান্তিকদের অগ্রসর হতে সাহায্য করতে হবে। কোনও প্রকার কুসংস্কার বা মানসিক-সামাজিক ট্রমা ছাড়াই এবং শিক্ষাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই একটি সামাজিক চুক্তি গড়ে তুলতে হবে।
দীপু মনি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ এর পুরস্কার অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন। যেখানে ‘বন্ধুত্ব’ নামে একটি বাংলাদেশি এনজিও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর মধ্যে সাক্ষরতা প্রচারে তাদের কাজের জন্য ইউনেস্কো কনফুসিয়াস পুরস্কার পেয়েছে।
Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
