
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
সুরাইয়া আক্তার
-সংগৃহীত
কাঁথা সেলাই করেও এসএসসিতে ‘জিপিএ-৫’ পেয়েছেন সুরাইয়া আক্তার। তার বাড়িতে ছিল না পড়ার জায়গা। চাচার প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারে বসে প্রায় সময় পড়ালেখা করতেন তিনি। দর্জি কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাইভেট পড়িয়ে এই ফলাফল করেছেন তিনি। পড়ালেখা করে সুমাইয়া হতে চান শিক্ষক।
সুরাইয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখা থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়েছেন তিনি।
জানা যায়, সুরাইয়ার বাবা পেশায় অটোরিকশা চালক আর মা পারভীন আক্তার গৃহিনী পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে সংসার চালান। সুরাইয়াও মায়ের সঙ্গে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জি কাজ ও প্রাইভেট পড়াতেন। চাচা স্বপন মিয়ার প্রতিষ্ঠিত ‘গুঞ্জন’ পাঠাগারে বসে লেখাপড়া করতেন সুরাইয়া।
তিনি বলেন, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে অনেক সহযোগিতা করেছেন। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতেন। আমি শিক্ষক হতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া কামনা করবেন।
সুরাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া বলেন, সুরাইয়াকে কখনই চাপ দেইনি যে ‘এ প্লাস’ পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের ‘এ প্লাস’ না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে ‘এ প্লাস’এর যোগ্যতা অর্জন করো। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সুরাইয়া প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লেখাপড়া করতো।
তিনি আরও বলেন, পাঠাগারের সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে মেয়ে হয়েও নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোনো দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করেই পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো। আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ ‘এ প্লাস’ পেয়েছে, এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
Posted ২:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | |
১ | ১৩ | ৪ | ১৫ | ১৬ | ১ | ৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২ | ৯ | ৩০ |