
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন তিন সপ্তাহে গড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে দাবি আদায়ে আন্দোলনের ২২ তম দিন মঙ্গলবার থেকে কাফনের কাপড় পড়ে আমরণ অনশনে যাবেন।তবে আজ রাত ১২টার মাঝে যদি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পান এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে আশ্বাস; পান তাহলে ক্লাসে ফিরে যাবেন শিক্ষকরা।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া একথা জানান।
গত ১১ জুলাই থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিটিএ ব্যানারে এই আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রে বৈষম্যের নিরসন চেয়ে তাদের এই আন্দোলন।
বিটিএ সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া বলেন, ‘একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। এবার দাবি আদায় না করে আমরা ফিরব না।’
তিনি বলেন, আমরা আশা করছিলাম প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আজকের (সোমবার) মধ্যে আমরা কোনো সুখবর পাবো। কিন্তু তেমন কিছু না হওয়ায় আমরা শিক্ষকরা মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন করব। তবে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত মাননীয় প্রধামন্ত্রীর ডাকের অপেক্ষায় থাকবো।
বিটিএ সাধারন সম্পাদক কাওছার আহমেদ বলেন, ‘আমরা দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা অনেক অবহেলিত। সরকারি স্কুলে আমাদের সমকক্ষ শিক্ষকরা একই কাজ করে যে উৎসবভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক বেতন-ভাতা পান, তার অর্ধেকও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের দেওয়া হয় না। তাই সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রে বৈষম্যের নিরসন চাই আমরা।
এদিকে প্রতিদিনের মতো সোমবারও সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির শুরুতে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২০ হাজার ৯৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে) মাধ্যমিক স্তর পড়ানো হয়। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৮৪টি, বাকি ২০ হাজার ২৭৬টি বেসরকারি।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিক স্তরের এসব প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২ জন। আর মোট শিক্ষক আছেন পৌনে তিন লাখের মতো।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই এমপিওভুক্ত। অর্থাৎ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে বেতনের মূল অংশসহ কিছু ভাতা পান।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে ‘বৈষম্য’ নিরসন চান আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষকরা।
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকেরা নানা সময় উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতীকী অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, কর্মবিরতি করেছেন।
এছাড়া শিক্ষকেরা তাদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বারবার স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তবে কোনো ধরনের অগ্রগতি না হওয়ায় এবার তাঁরা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
Posted ৮:২৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৭ | ৮ | ৯ | |
১০ | ১১ | ১ | ১৩ | ৪ | ১৫ | ১৬ |
১ | ৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২ | ৯ | ৩০ |
৩১ |