
ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রতীকী ছবি
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায় আছেন ৩২ হাজার শিক্ষকপ্রার্থী। এর মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে অনলাইনে জমা দিয়েছেন। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েছে এনটিআরসিএ।
এদিকে নতুন করে এক প্রার্থীর রিটের কারণে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের রিটের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশ সম্ভব হবে না। অপেক্ষায় থাকা শিক্ষকপ্রার্থীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে কে এই প্রার্থী।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের সাবেকুন নাহার নামে এক নিবন্ধনধারীর নম্বর ছিল ৬৩। তার আবেদন করা পদে ৬১ নম্বর পাওয়া নিবন্ধনধারীকে প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যার নথিপত্র ইতোমধ্যে এনটিআরসিএতে পৌঁছেছে।
ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল : Shikshar Alo
রিটের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সুরাহা করা যেত। তবে উচ্চ আদালতে অবকাশ শুরু হওয়ায় রিটের স্থগিতাদেশের ওপর শুনানির জন্য তারিখ পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে। চেম্বার জজ আদালতে শুনানির ব্যবস্থা করতে না পারলে আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে কিছুই করার থাকবে না এনটিআরসিএর। আইনি জটিলতা দূর না হওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষক নিয়োগ আটকেই থাকবে।
এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান এবং পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যায়ন বিভাগের দুজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরগঞ্জের সাবেকুন নাহার নামে একজন নিবন্ধনধারীর নম্বর ছিল ৬৩। তার আবেদন করা পদে ৬১ নম্বর পাওয়া নিবন্ধনধারীকে প্রাথমিক সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন, যার নথিপত্র এরই মধ্যে এনটিআরসিএ সচিব দপ্তরে পৌঁছেছে।
ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল : Shikshar Alo
এনটিআরসিএর একজন উপ-পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত কোনো বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিলে তো কিছু করার থাকে না। এখন এনটিআরসিএ কিছুটা নিরুপায়। আমরা চেষ্টা করবো- দ্রুত একটা হেয়ারিং (শুনানি) করানোর।
তিনি বলেন, অবকাশকালীন নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তিতে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ গঠন করে দেন। আমরা চেষ্টা করছি- এনটিআরসিএর নিয়োগ যাতে শুরু করা যায়, সেজন্য চেম্বার জজ আদালতে একটি শুনানি করে আদালতের নির্দেশনার (নিয়োগে স্থগিতের আদেশ) ওপর স্থগিতাদেশ পেলে চূড়ান্ত সুপারিশে বাধা থাকবে না।
২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়।
……………………………….
লেখা পাঠান আমাদের নিকট : shiksharalo.news@gmail.com
লিখুন শিক্ষা বিষয়ক সংবাদ, ফিচার, কলাম, মতামত। পাঠিয়ে দিন উপরোক্ত পত্রিকার মেইলে। লেখার শেষে মোবাইল নম্বর ও ছবি পাঠাতে ভুলবেন না , ধন্যবাদ…………………………….
ফলো করুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ : শিক্ষার আলো ডট কম
ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল : Shikshar Alo
Posted ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | |
১ | ১৩ | ৪ | ১৫ | ১৬ | ১ | ৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২ | ৯ | ৩০ |