
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
তিন ভাই-বোন এসএসসিতে জিপিএ-৫
-সংগৃহীত
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় আদিবাসী যমজ (ট্রিপলেট বেবি) তিন ভাই-বোন বিরামপুরে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা বিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যমজ (ট্রিপলেট বেবি) তিন ভাই-বোনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে একজন জিপিএ-৫ গোল্ডেনও পায়। তাদের এই ফলে বাবা-মাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উপজেলাবাসী খুশি।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলো- ভাই লাসার সৌরভ মুরমু এবং দুই-বোন মেরি মৌমিতা মুরমু ও মারথা জেনিভিয়া মুরমু। তিন ভাই-বোনের মধ্যে লাসার সৌরভ মুরমু ইঞ্জিনিয়ার এবং দুই-বোন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।
বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রায়াগপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের জোহানেস মুরমু ও সোহাগীনি হাসদার দম্পতির যমজ সন্তান তারা। বাবা উত্তরবঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।
যমজ তিন সন্তানের মা সোহাগীনি হাসদার জানান, ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পার্বতীপুর একটি মিশন হাসপাতালে একে তিন সন্তান জন্ম নেয়। ছোট বেলা থেকেই তারা তিন ভাই-বোন পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী। ২০১৭ সালে বিরামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলেও এবার তারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনজনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার।
মা সোহাগীনি হাসদা বলেন, সন্তানদের সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। মেয়ের স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া আর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন পূরণের জন্য। এজন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করছি।
মেরি মৌমিতা মুরমু জানায়, আমরা তিন ভাই-বোন এক সঙ্গেই পড়াশোনা করি। আমারা এমন ফলাফলে অনেক খুশি। আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক মা। বাবার উৎসাহ আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। আমারা কোনো ফোন ব্যবহার করতাম না। ক্লাসে আমাদের পাশাপাশি রোল ছিল। শিক্ষকরা আমাদের পড়াশোনায় অনেক উৎসাহ দিতেন।
বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আরমান হোসেন বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় একই পরিবারের তিন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে আমাদের বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক বেশ খুশি। আমরা তাদের উত্তর-উত্তর সাফল্য কামনা করছি।
সংশ্লিষ্ট ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রহমত আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের আদিবাসী জোহানেস মুর্মুর তিন যমজ ছেলে-মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা আমার ইউনিয়নের গর্ব। তাদের বাবা একজন অতিসাধারণ এবং খুবই গরিব মানুষ। আমার ইউনিয়নের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা তাদের দিয়ে আসছি। আগামিতে এই তিন ছেলেমেয়েদের জন্য আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব সুবিধা দেওয়া হবে।
বিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী পরিবার থেকে তিন যমজ ভাইবোনের এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়া খুবই আনন্দের খবর। তিন ভাই-বোনের বিষয়ে নতুন ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে অবশ্যই তাদের সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Posted ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৭ | |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১ | ১৩ | ৪ |
১৫ | ১৬ | ১ | ৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২ |
৯ | ৩০ | ৩১ |