
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্সি দেয়ার ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন। নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে প্রশাসন। যেখানে ১৫ জন ছাত্র এবং ৪৪ জন ছাত্রী রয়েছে। বাকি পরীক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ইউএনও মাসুদ হোসেন। ওই কেন্দ্রে ১০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৫৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ ছিল তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষা। অন্যের হয়ে দুই বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষার দিন তারা ধরা পড়েছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মাওলা সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে যাচাই-বাছাই চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সাপাহারের ইউএনও মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টায় দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্রসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।’
ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানিয়েছেন, ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ছবিসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই শেষে প্রকৃত ভুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।
জানা গেছে, এর আগে বাংলা প্রথম ও বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় একইভাবে অংশগ্রহণ করে ওই শিক্ষার্থীরা। আজ পরীক্ষা দিতে এসে তারা ধরা পড়ে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা বোর্ডের অধীনে শুরু হয়েছে এবারের দাখিল পরীক্ষা। এতে অংশ নিচ্ছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ ও ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২।
দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ১৪ মার্চ। ১৬-৩০ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
Posted ১:২১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | |
১ | ১৩ | ৪ | ১৫ | ১৬ | ১ | ৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২ | ৯ | ৩০ |