শুক্রবার ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলের সীমানায় যেতে পারবেন না আইডিয়ালের মুশতাক

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট

স্কুলের সীমানায় যেতে পারবেন না আইডিয়ালের মুশতাক

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ গভর্নিং বডির কোনো কর্মকাণ্ডে এবং মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না ও স্কুলের সীমানায় যেতে পারবেন না।

আইডিয়ালের ছাত্রীর বাবার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।


আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম রোববার এ আদেশ দেন। সোমবার (২১ আগস্ট) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৭ আগস্ট মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অভিযুক্ত মুশতাককে আগাম জামিন দেন আদালত।


বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাই ভিকটিমের বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে।


তবে ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরে মুস্তাকের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে হাইকোর্ট আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ, আইডিয়ালের ছাত্রী ও তার বাবার বক্তব্য শোনেন।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী ২ নম্বর আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভুক্তভোগীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

Facebook Comments Box

Posted ৫:৩৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩

শিক্ষার আলো ডট কম |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
অফিস

চৌগাছা, যশোর-৭৪১০

হেল্প লাইনঃ 01644-037791

E-mail: shiksharalo.news@gmail.com