
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
-সংগৃহীত
নতুন প্রজন্মের জন্য পাঠ্যসূচিতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে নতুন পথ রচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের কণ্ঠ ১৯৭১ সালে কোথায় ছিল। ’৭৫ এ তারা তো সরাসরি যুক্ত ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে। সেদিন যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কি মানবাধিতার ছিল না? বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না?’
বুধবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট’ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। অতীতে যে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলেছে, তা থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। পাঠ্যসূচিতে সত্য ইতিহাস তুলে ধরবো। তরুণ প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস জেনে সামনে এগোতে হবে। নতুন পথ রচনা করতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, ‘গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের অনেক সবক আমরা বিভিন্ন জায়গায় থেকে শুনি। এই দেশের মানুষ মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। যারা আমাদের সবক দিতে আসেন, তাদের কারোই অত ত্যাগের ইতিহাস নেই। যারা আমাদের মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের কণ্ঠ ১৯৭১ সালে কোথায় ছিল। ওই সময় তারা তো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে ছিল। ’৭৫ এ তারা তো সরাসরি যুক্ত ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে। সেদিন যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মানবাধিতার ছিল না? বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না? ২০০৪ সালে ২১ আগস্টে ১৯৭৫ এর অসমাপ্ত কাজ করার জন্য সেই ঘাতকরা শেখ হাসিনাকে শুধু হত্যা করা নয়, সমগ্র আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেদিন আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। তাদের মানবাধিকার ছিল না? ২০০১ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে মাসের পর মাস এই বাংলাদেশে হত্যা ধর্ষণের যে ভয়াবহতা আমরা দেখেছি, তাদের কোনও মানাবধিকার ছিল না? মানবাধিকার শুধু আছে সেই সব ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধ যারা করেছে, তাদের?’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চার প্রধান অন্তরায় বিএনপি ও জামায়াত। আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করে যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করা হয়। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে পরস্পর বিরোধী দুটো আদর্শিক ধারায় বিভক্ত করা হয়েছে। এটাই হলো বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণ।’
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন। নতুন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করলেন। এটি যায় বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের পক্ষে। আর উঠতি ধনিক শ্রেণির বিপক্ষে। এই ধনিক শ্রেণি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে।’
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিস্টিংগুইশ অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান। আলোচক ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন।
Posted ১০:৫৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৭ | ৮ | ৯ | |
১০ | ১১ | ১ | ১৩ | ৪ | ১৫ | ১৬ |
১ | ৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২ | ৯ | ৩০ |
৩১ |